দেশ 

Farmer Protest : কৃষক বিক্ষোভের জেরে পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা থেকে ফিরোজপুর যাওয়ার পথে কুড়ি মিনিট আটকে থাকলো প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব সফর বাতিল করলেন মোদি

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: কৃষক বিক্ষোভের জেরে পাঞ্জাব সফর মুলতুবি রেখে ফিরে আসতে হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মাস দুয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 3 কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একইসঙ্গে সংসদে সেই আইন প্রত্যাহারের বিল পাস করেছেন। তা সত্ত্বেও কৃষকদের অসন্তোষ দূর করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি। আজ বুধবার পাঞ্জাব সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু ভাতিন্ডা বিমানবন্দর থেকে ফিরোজপুর যাওয়ার পথে কৃষক বিক্ষোভের জেরে কুড়ি মিনিট ফ্লাইওভারের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রীর কনভয় কে। শেষ পর্যন্ত কৃষক বিক্ষোভের জেরে সফর বাতিল করে দিল্লি ফিরে আসতে হয় নরেন্দ্র মোদিকে।

প্রধানমন্ত্রী ভাতিণ্ডায় গিয়েছেন হুসেইনিওয়ালার ন্যাশনাল ওয়্যার মেমোরিয়াল পরিদর্শনে। প্রথমে ঠিক ছিল তিনি ভাতিণ্ডা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে ওয়্যার মেমোরিয়ালে যাবেন। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কপ্টার ওড়া সম্ভব হয়নি। তাই তিনি প্রায় দু’ঘন্টার রাস্তা সড়কপথেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করা হয় বলে দাবি করেছেন পাঞ্জাবের ডিজিপি।

Advertisement

নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার পরই সড়কপথেই মোদির সফরের অনুমতি দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। কিন্তু ন্যাশনাল ওয়্যার মেমোরিয়াল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে হঠাৎ দেখা যায় একটি কৃষক সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এবং রাস্তা বন্ধ। যার ফলে আটকে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। প্রায় মিনিট ২০ অপেক্ষা করার পর ভাতিণ্ডা বিমানবন্দরে ফিরে যান মোদি। তাঁর সব অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই কৃষক সংগঠনের সদস্যরা মোদির বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তায় বড়সড় খামতি দেখা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের দাবি, অনেক আগে থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি সম্পর্কে জানানো সত্ত্বেও, পাঞ্জাবের কংগ্রেস (Congress) সরকার নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করেনি। নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা ছিল পাঞ্জাব সরকারের। কিন্তু স্পষ্টতই পাঞ্জাব সরকার সেটা করেনি। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হলেও বিষয়টি কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে স্পর্শকাতর’ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জানা যাচ্ছে কয়েকটি কৃষক সংগঠন সমগ্র দেশ জুড়ে যেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সড়ক পথে যাবেন সেখানেই বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশের  উত্তর পশ্চিম এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এইভাবে সফরে গেলে সেখানেও বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে কৃষক আন্দোলনকারীদের।

সবমিলিয়ে আজকের কৃষক বিক্ষোভ এটা প্রমাণ করেছে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার পরেও কৃষকদের মনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এখনো বিক্ষোভ জমে রয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে পাঞ্জাবির আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তথা তাঁর সঙ্গীরা অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ